শীত Vs বউ || রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
গল্পঃ-শীত vs বউ
বিয়ের রাতেই বর এক ধমক দিয়ে বললো,,
বরঃ- এই মেয়ে তুমি খাট থেকে নামো, যাও নিচে গিয়ে শুয়ে পড়ো, বাবা-মায়ের কথা রাখতে আমি তোমাকে বিয়ে করেছি,একটা প্রেম করে বিয়ে করার কত স্বপ্ন ছিলো আমার কিন্তুু তা আর বাবা মায়ের জন্য হলো না। প্রেম করার আগেই তারা বউ নামের এই সাইনবোর্ড টাগলায় ঝুলিয়ে দিলো,খাট থেকে নেমে ফ্লোরে বিছানা করে শোয়ে পরো যাও, আর কোনদিন আমার কাছে তুমি স্ত্রীর অধিকার নিয়ে আসবে না,,,
কথা গুলো শুনে ইয়াহু বলে এক চিৎকার দিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে বললাম ওকে ওকে থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ
-প্লিজ চলুন আমার সাথে
বর আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে
আমিঃ-কই চলুন না
বরঃ- কই যাবো
আমিঃ- আরে আমাকে আমার বয়ফ্রেন্ডের কাছে দিয়ে আসুন প্লিজ।চলুন চলুন,,,
আমার বর ইয়া বড় বড় হা করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে
আমিঃ-এই যে হা করে কী দেখছেন
আমি জানি আমি অনেক সুন্দর তাই বলে এই ভাবে হা করে দেখতে হবে?
আমার বিএফ ও আমার দিকে এভাবে হা করে তাকিয়ে থাকতো,আমি তখন ওকে বলতাম যাও দুষ্টু
এই ভাবে দেখতে হয় আমার বুঝি লজ্জা করে না
** আমার বর আমার কথা শুনে এবার মুখ বন্ধ করে বলল
বরঃ- ওই নাম খাট থেকে, এক্ষুনি নামবি সকালেই আমি সবার সামনে তোর এই কথা বলে দিবো শালী,,,
**** তুই শব্দটার প্রতি ছোট বেলা থেকে আমার রাগ
এই তুই শব্দটা শুনলেই গায়ে জ্বালা ধরে যায়
আম্মু আর ক্লোজ ফ্রেন্ড ছাড়া কেউ তুই বললে মাথা রক্ত উঠে যায়
জানি না কেন ছোটবেলা থেকে এই তুই শব্দটা অসহ্য লাগে
আর আমার বর যাকে আমি কিছুক্ষণ আগে তিন কবুল করে বিয়ে করছি
সে কিনা আমাকে তুই বলছে
এবার আমিও গেলাম রেগে
রেগে গিয়ে বললাম
আমিঃ- ওই ওই বার বার খাট থেকে নাম খাট থেকে নাম যে করছিস খাট টা কি তোর বাপের
এটা আমার বাবার খাট আমার বাবা আমাকে এই খাট দিছে
খাট থেকে নামতে হলে তুই নামবি ফ্লোর শুতে হলে তুই শুবি,, আমি না হি হি হি
**বর বাংলা পাঁচের মত করে খাট নেমে গেলো
এবার ঠিক বুঝতে পেরেছে কাকে কি বলেছে
বর খাট থেকে নেমে সোফায় গিয়ে বসলো
তখনই আমি বলে উঠলাম
আমিঃ- সোফাটা আমার বাপের টাকায় কিনা আমার বাপ দিয়েছে আমাকে
সোফা থেকে নেমে আপনার বাপের করা ফ্লোরে শুয়ে পড়ুন, নামুন
এবার আমার খাটের উপর থেকে কম্বল টানছে
আমিঃ- এই যে মিস্টার কম্বল কেন টানছেন
কম্বলটা আমার বাবা আমার জন্য বিদেশ থেকে নিয়ে আসছে
আমার বাবা- আমাকে কম্বল দিয়েছেন বলে কিছুক্ষণ আগে আপনার মা আপনার কম্বলটা নিয়ে গেছে
গেস্ট দের গায়ে দিতে দিবেন বলে
কম্বল টাও আমার বাপের
সো ছাড়ুন বলার, আগেই ছেড়ে দিন
এবার আমার বর যা করলো তা দেখে আমি আমার চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না
বরঃ- বউয়ের ঠোঁটে চেপে ধরে ইচ্ছা মতো রস মালাই খেয়ে বউকে আদুরে গলায় বললাম,
শোনা বউ তুমি আমার লক্ষী বউ জাদু বউ জানু বউ সোনা বউ প্রাণ পাখি বউ তুমি না আমার বউ তুমি আমার বউ মানে তোমার বাপ আমার শ্বশুর বাবা, আমার শ্বশুর বাবার টাকায় কিনা খাট যদি তোমার হয়,তাহলে সে খাটা আমার ও হয়। যেহেতু তিনি এখন আমার বাবা হন
আর তার কম্বল ও তাহলে তোমার আর আমার ঠিক বলছি না বলো।
চলো না দুজন মিলে শুয়ে পড়ি
বিশ্বকাপ খেলা শুরু করতে হবে না বলো?
আমিঃ- বুঝলাম না হঠাৎ চুপসে গেল কেন
সিংহ থেকে বিড়াল হয়ে গেল হি হি হি বেচারার মুখের দিকে চেয়ে মনে হল
তাই বললাম ঠিক আছে দুজনে ভাগাভাগি করে খাটে শুবো কম্বল গায়ে দিবো
এমন দিনে বিয়েটা হল প্রচন্ড শীত কবুল বলার সময় কাঁপতে কাঁপতে বলতে হয়েছে কক কক কক কবুল
এই নিয়ে ও লোক জনের কত কথা
কিন্তু আমার দুঃখটা কেউই বুঝলো না
লোকে বললো মেয়েটা মুরগির মত ঝিমাচ্ছে কেন
শীতের জন্য যে মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না
সেটা কেউ বুঝলো না শেষ মেষ অতিবুল বলেছি,,,
গল্পঃ- শীত v
শীতের জন্য যে মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না,, সেটা কেউ বুঝলো না শেষমেস অতিকষ্টে তিন কবুল বলেছি
শীত আমি একদম সহ্য করতে পারি না,, সবার কাছে শীত কাল টা পছন্দের হলও আমার কাছে এটি খুব বিরোক্তিকর।
মানুষ কেন যে এই শীতে বিয়ে করে,আর এই শীতে এত সকাল বেলা কিভাবে গোসল করে
আল্লাহই জানে।
যাই হোক বিছানায় কম্বল গায়ে দিয়ে শুয়ে আছি আমি আমার বর।
হঠাৎ করে শীত টা যেনো বেশিই লাগছে
তাই বরকে একটু জড়িয়ে ধরলাম
কলেমা পড়ে বিয়ে করেছে এই শীতে
এত কষ্ট করে কবুল বলেছি
তাকে জড়িয়ে ধরা অধিকার তোমার আছে তাই না
বরকে জড়িয়ে ধরার সাথে সাথে বর আমার উঠে বসে পড়লো
ছেলেঃ- তোমার না বিএফ আছে আমাকে কেন ছুইলা?
মেয়েঃ- bf! কিসের বিএফ?
ছেলেঃ- তুমি না বললে "আমাকে আমার বিএফ এর কাছে দিয়ে আসুন "
মেয়েঃ- হি হি হি ওটা তো আপনাকে রাগানোর জন্য বলেছি😁
আপনার রিয়েকশন দেখার জন্য, আমার কোন বিএফ নাই
থাকলে কি আর আপনার মত আধবুড়ো লোককে বিয়ে করি
ছেলেঃ- কি আমি আধবুড়া
মেয়েঃ- আধবুড়া নয়তো কি
ছেলেঃ- আসো বুঝেছি আমি আধবুড়া কিনা
দেখাচ্ছি। এই আধ বুড়ারাকি তিনবার অজ্ঞান করতে পারে?
আমি করতে পারি তিনবার অজ্ঞান করতে পারি দেখবি?
বলেই বউ হাত ধরলাম।জট🇧🇩
মেয়েঃ- হাত ধরবেন না আমি মেয়েটাও কিন্তু আমার বাপের
ছেলেঃ- তাতে কি বউ টা তো আমার।
মেয়েঃ- আহা বউয়ের প্রতি খুব ভালোবাসা জাগছে তাই না?
ছেলেঃ- জাগবে না দশটা না পাঁচটা না একটা মাত্র বউ আমার.
মেয়েঃ- কি করতে পারবে বউ এর জন্য
ছেলেঃ- তুমি যা বলবে তাই পারবো
কিন্তু ইস্পেশালী বাচ্চাদের গোডাউন বানিয়ে দিতে পারবো। কয়টা বাচ্চা লাগবে তোমার? হি হি হি
মেয়েঃ- তাহলে একরাত কম্বল ছাড়া শুয়ে দেখান😁
ছেলেঃ- এই শীতের ভয়ে কম্বলের লোভে বউ এর কাছে হার মানলাম। একমাত্র কম্বলের জন্য বউয়ের সামনে সহজ সরল বাচ্চা ছেলে হয়ে গেলাম।আর এখন বউ বলে কিনা এই কম্বল ছাড়তে,,,,,
না না না এটা হতে পারে না
এই শীতের রাতে বউ ছাড়া থাকতে পারবো কিন্তু কম্বল না
মেয়েঃ- কিইইই
বরের সামনে বাঘিনী সাজাতে গিয়ে এখন আমি নিজেই বিড়াল হয়ে গেলাম
আমার থেকে এই কম্বল বেশি দামি আপনার কাছে?
থাকুন আপনি কম্বল নিয়ে
আমি সকাল হলে বাপের বাড়ি চলে যাবো
ছেলেঃ- সমস্যা নেই রাত টুকুতেই কম্বল টা লাগবে।
সকালে আমিই কম্বল প্যাক করে তোমার সাথে পাঠিয়ে দিবো
অবশেষে বর কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমাতে লাগলো
আর আমি বসে বসে এ্যা এ্যা করে কাঁদতে লাগলাম
আর আমি বলতে লাগলাম শেষ মেস একটা কম্বলে কাছে আমি হেরে গেলাম
আমার বর আমাকে জড়িয়ে না ধরেও কম্বলটাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে
কম্বলটাকে এখন আমার স্বতীন মনে হচ্ছে
বরের কাছে গিয়ে বললাম,
ও বর ওগো শুনছো
এই শীতে কম্বল গায়ে না দিয়ে ও শরীর গরম করা যায়
ছেলেঃ- আমি বউ কথা শুনে লাফিয়ে উঠলাম আর বললাম কি বল
মেয়েঃ- হুম জানো শীতের সময় মানুষ বেশি বেশি বিয়ে করে কেন
ছেলেঃ- কেন
মেয়েঃ- টি-টুয়ান্টি ম্যাচ খেললে শরীর গরম হয়ে যায় তাই
ছেলেঃ- হি হি হি বউ আমার চায়
আমি তাকে তিনবার অজ্ঞান করি আমিও তো এই চান্সে ছিলাম
কিন্তু নিজের থেকে পের্টিস নষ্ট করা হয়ে যাবে না।
আমার আবার তিনবারের বেশি অজ্ঞান করার শখ নাই
তারপর শুরু করলাম টি-টুয়ান্টি বিশ্বকাপ খেলা হি হি হি হি
(((( সমাপ্ত))))
লেখকঃরাজিব
No comments